১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দের দুর্যোগ – ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা জুড়ে ভূমিকম্প দেখা দিয়েছিল। এর ফলে প্রায় ৩০ হাজারের মতো মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছিল।
১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ – এই সালে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বন্যা ও ভূমিকম্প দেখা দিয়েছিল। এই দুর্যোগের ফলে তিস্তা নদীর জলপথের পরিবর্তন ঘটেছিল এবং ওই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের প্রভুত ক্ষতি হয়েছিল।
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ – এই বছর মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সাইক্লোন নামে একটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। যার ফলে প্রায় ১০ হাজারের মতো মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছিল।
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ – ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সাইক্লোন ভোলা নামে একটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। যার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন বিপন্ন ঘটেছিল। এবং গঙ্গার নিম্ন অববাহিকায় বন্যা দেখা দিয়েছিল।
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ – ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে খুব বড় একটি বন্যা হয়েছিল। যা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি বেশি প্রভাবিত হয়েছিল। এই বন্যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ বিশেষ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ – এই বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে দক্ষিণবঙ্গের মেদিনীপুর, হাওড়া, ২৪ পরগনা, হুগলি, প্রভৃতি জেলাগুলি জলমগ্ন হয়ে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এরফলে স্থানীয় মানুষেরা বিশেষ বিশেষভাবে ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছিল।
১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ – এই সালে কলিকাতা বর্ধমান এবং বীরভূম জুড়ে সাইক্লোন ঝড় ও বন্যা পরিলক্ষিত হয়েছিল। যার ফলে এই ক্রান্তীয় সাইক্লোনের জন্য পনেরশোটিরও বেশি গ্রাম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল, এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন হওয়ার কারণে এলাকাগুলি বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
২০০৫ খ্রিস্টাব্দ – এই বছর পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলিতে বন্যা দেখা দিয়েছিল। এই বন্যার কারণে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার প্রায় তিন হাজারের মতো গ্রাম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ – এই সালে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা সাইক্লোন বা আইলা ঝড়ের কবলে পড়েছিল। যার ফলে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং বেশ কয়েকটি গ্রাম বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
২০২০ খ্রিস্টাব্দ – এই বছর করুনার মহামারীতে যখন সারা বিশ্ব ভুগছিল। সেই সময়ে ২০২০ সালে আছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফাম। এই ঘূর্ণিঝড় দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলিকাতা, হাওড়ায় , হুগলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। এই ঝড়ের কবলে বাংলাদেশকেও পড়তে হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলে প্রাই সাড়ে তিন কোটির মত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আপনি আমাকে দয়া করে এই উত্তরের জন্য লাইক এবং ব্রিলিয়ান্ট মার্ক দেবেন.
Answers & Comments
Answer:
১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দের দুর্যোগ – ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা জুড়ে ভূমিকম্প দেখা দিয়েছিল। এর ফলে প্রায় ৩০ হাজারের মতো মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছিল।
১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ – এই সালে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বন্যা ও ভূমিকম্প দেখা দিয়েছিল। এই দুর্যোগের ফলে তিস্তা নদীর জলপথের পরিবর্তন ঘটেছিল এবং ওই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের প্রভুত ক্ষতি হয়েছিল।
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ – এই বছর মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সাইক্লোন নামে একটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। যার ফলে প্রায় ১০ হাজারের মতো মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছিল।
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ – ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে সাইক্লোন ভোলা নামে একটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। যার ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন বিপন্ন ঘটেছিল। এবং গঙ্গার নিম্ন অববাহিকায় বন্যা দেখা দিয়েছিল।
১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দ – ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে খুব বড় একটি বন্যা হয়েছিল। যা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি বেশি প্রভাবিত হয়েছিল। এই বন্যার ফলে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ বিশেষ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ – এই বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে দক্ষিণবঙ্গের মেদিনীপুর, হাওড়া, ২৪ পরগনা, হুগলি, প্রভৃতি জেলাগুলি জলমগ্ন হয়ে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। এরফলে স্থানীয় মানুষেরা বিশেষ বিশেষভাবে ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছিল।
১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ – এই সালে কলিকাতা বর্ধমান এবং বীরভূম জুড়ে সাইক্লোন ঝড় ও বন্যা পরিলক্ষিত হয়েছিল। যার ফলে এই ক্রান্তীয় সাইক্লোনের জন্য পনেরশোটিরও বেশি গ্রাম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল, এবং বিস্তীর্ণ এলাকায় জলমগ্ন হওয়ার কারণে এলাকাগুলি বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
২০০৫ খ্রিস্টাব্দ – এই বছর পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলিতে বন্যা দেখা দিয়েছিল। এই বন্যার কারণে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার প্রায় তিন হাজারের মতো গ্রাম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ – এই সালে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা সাইক্লোন বা আইলা ঝড়ের কবলে পড়েছিল। যার ফলে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং বেশ কয়েকটি গ্রাম বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
২০২০ খ্রিস্টাব্দ – এই বছর করুনার মহামারীতে যখন সারা বিশ্ব ভুগছিল। সেই সময়ে ২০২০ সালে আছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফাম। এই ঘূর্ণিঝড় দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলিকাতা, হাওড়ায় , হুগলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। এই ঝড়ের কবলে বাংলাদেশকেও পড়তে হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলে প্রাই সাড়ে তিন কোটির মত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আপনি আমাকে দয়া করে এই উত্তরের জন্য লাইক এবং ব্রিলিয়ান্ট মার্ক দেবেন.