আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। অনুগ্রহ করে আপনার পরিবারের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। চিঠি আদান-প্রদানের অনেক দিন হয়ে গেছে। তাই ভাবলাম তোমাকে লিখব।
আমি আমার সাম্প্রতিক দিল্লি সফর সম্পর্কে লিখতে খুব উত্তেজিত. গত সপ্তাহে, আমরা একটি শিক্ষা সফরে দিল্লি গিয়েছিলাম। দিল্লির একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে, এটিকে "ইন্দ্রপ্রস্থ" বলা হত।
মুসলিম সম্রাটরাও এটাকে তাদের রাজধানী মনে করতেন। হুমায়ুনের সমাধি, কুতুব মিনার, সফদরজং ও নিজামুদ্দিনের সমাধি, রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ ভবন ইত্যাদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। অনেক সরকারী অফিস, দূতাবাস অফিস, ট্রেডিং ফার্ম, হাই কমিশন এবং আরও অনেক সংস্থা দিল্লিতে উপস্থিত রয়েছে। দিল্লি ভারতের প্রাণকেন্দ্র এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ একটি স্থান।
প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। আশা করি তোমার আব্বা, আম্মা ও ভাই- বোনদেরকে নিয়ে ভালো আছ। গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে তোমার বর্তমান অবস্থা বিস্তারিত জানতে পারলাম।
গত চিঠিতে তোমাকে লিখেছিলাম শরৎকালীন ছুটিতে ভাই ভাবির সঙ্গে বেড়াতে যাব। কিন্তু বেড়ানোর জায়গাটি যে এত চমৎকার হবে তা ভাবতে পারিনি। গতকাল আমরা ইতিহাসপ্রসিদ্ধ সোনারগাঁও দেখে এসেছি। ছোটবেলায় বইপুস্তকে পড়েছি বাংলার প্রখ্যাত বারো ভূঁইয়াদের কাহিনি। তাদের একজন স্বনামধন্য স্বাধীনচেতা বীর ছিলেন ঈশা খাঁ। তাঁরই অমর কীর্তিময় রাজধানী সোনারগাঁও। এর প্রাকৃতিক শোভা, প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনের বিমোহিত চিত্র চিঠিতে লিখে তোমাকে আমি ঠিক বোঝাতে পারব কিনা জানি না। তবুও কিছুটা হলেও সেই সৌন্দর্যের চিত্র তুলে ধরতে চেষ্টা করব।
সকাল সাতটায় খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা সোনারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। সকাল নটায় সেখানে পৌঁছলাম। রাতের পাশে ভগ্নপ্রায় বিরাট দ্বিতল ইমারত, সামনে মস্ত পুকুরের পাশে গাছের সারি। শান বাঁধানো ঘাটে ঘোড়ার পিঠে বীরযোদ্ধার পাথরের খোদাই করা গর্বিত প্রতিমূর্তি স্মরণ করিয়ে দেয় বাংলার অবলুপ্ত শৌর্য-বীর্যের কথা। আর একটু এগিয়ে যেতেই দেখলাম শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের প্রচেষ্টায় নির্মিত বাংলার লোকশিল্প ও কারুশিল্প জাদুঘর। এখান থেকে শুরু ঈশা খাঁর রাজধানীর মূল ভবন। রাস্তার দুপাশে রয়েছে অনেক পুরোনো অট্টালিকা। প্রতিটি অট্টালিকায় রয়েছে প্রাচীন যুগের স্থাপত্য নিদর্শন। বাংলাদেশ সরকার পুরাকীর্তি সংরক্ষণ বিভাগের অধীনে সোনারগাঁওয়ের ধ্বংসপ্রায় প্রাসাদসমূহকে সংস্কার সংরক্ষণের আওতায় এনেছে। 3
উত্থান-পতনের ধারা বেয়ে আজকের ধ্বংসপ্রায় সোনারগাঁও হয়তো একদিন বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু সোনারগাঁওয়ের স্মৃতি আমার মানসপটে চিরদিনই অমলিন থাকবে। সময় পেলে তুমিও বাংলার ইতিহাসপ্রসিদ্ধ স্থান সোনারগাঁও দেখে এসো।
আমি ভালো আছি। তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে জানাবে। তোমার আব্বা-আম্মাকে আমার সালাম জানাবে।
ইতি—
তোমার প্রীতিমুগ্ধ
অনন্ত
Explanation:
I HOPE THIS IS THE ANSWER THAT YOU ALL NEEDED, SHOULD I DESERVE BRAINLIEST
Answers & Comments
Answer:
14B-ব্লক,
কলকাতা, 700011
11/11/2020
প্রিয় ধনিয়া,
আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। অনুগ্রহ করে আপনার পরিবারের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। চিঠি আদান-প্রদানের অনেক দিন হয়ে গেছে। তাই ভাবলাম তোমাকে লিখব।
আমি আমার সাম্প্রতিক দিল্লি সফর সম্পর্কে লিখতে খুব উত্তেজিত. গত সপ্তাহে, আমরা একটি শিক্ষা সফরে দিল্লি গিয়েছিলাম। দিল্লির একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে, এটিকে "ইন্দ্রপ্রস্থ" বলা হত।
মুসলিম সম্রাটরাও এটাকে তাদের রাজধানী মনে করতেন। হুমায়ুনের সমাধি, কুতুব মিনার, সফদরজং ও নিজামুদ্দিনের সমাধি, রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ ভবন ইত্যাদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। অনেক সরকারী অফিস, দূতাবাস অফিস, ট্রেডিং ফার্ম, হাই কমিশন এবং আরও অনেক সংস্থা দিল্লিতে উপস্থিত রয়েছে। দিল্লি ভারতের প্রাণকেন্দ্র এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ একটি স্থান।
সত্যি তোমার,
পুনম
Answer:
৫ কমলাপুর, ঢাকা
১৫ই অক্টোবর, ২০২০
প্ৰিয় কুশল,
প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। আশা করি তোমার আব্বা, আম্মা ও ভাই- বোনদেরকে নিয়ে ভালো আছ। গতকাল তোমার চিঠি পেয়ে তোমার বর্তমান অবস্থা বিস্তারিত জানতে পারলাম।
গত চিঠিতে তোমাকে লিখেছিলাম শরৎকালীন ছুটিতে ভাই ভাবির সঙ্গে বেড়াতে যাব। কিন্তু বেড়ানোর জায়গাটি যে এত চমৎকার হবে তা ভাবতে পারিনি। গতকাল আমরা ইতিহাসপ্রসিদ্ধ সোনারগাঁও দেখে এসেছি। ছোটবেলায় বইপুস্তকে পড়েছি বাংলার প্রখ্যাত বারো ভূঁইয়াদের কাহিনি। তাদের একজন স্বনামধন্য স্বাধীনচেতা বীর ছিলেন ঈশা খাঁ। তাঁরই অমর কীর্তিময় রাজধানী সোনারগাঁও। এর প্রাকৃতিক শোভা, প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনের বিমোহিত চিত্র চিঠিতে লিখে তোমাকে আমি ঠিক বোঝাতে পারব কিনা জানি না। তবুও কিছুটা হলেও সেই সৌন্দর্যের চিত্র তুলে ধরতে চেষ্টা করব।
সকাল সাতটায় খাওয়াদাওয়া সেরে আমরা সোনারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। সকাল নটায় সেখানে পৌঁছলাম। রাতের পাশে ভগ্নপ্রায় বিরাট দ্বিতল ইমারত, সামনে মস্ত পুকুরের পাশে গাছের সারি। শান বাঁধানো ঘাটে ঘোড়ার পিঠে বীরযোদ্ধার পাথরের খোদাই করা গর্বিত প্রতিমূর্তি স্মরণ করিয়ে দেয় বাংলার অবলুপ্ত শৌর্য-বীর্যের কথা। আর একটু এগিয়ে যেতেই দেখলাম শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের প্রচেষ্টায় নির্মিত বাংলার লোকশিল্প ও কারুশিল্প জাদুঘর। এখান থেকে শুরু ঈশা খাঁর রাজধানীর মূল ভবন। রাস্তার দুপাশে রয়েছে অনেক পুরোনো অট্টালিকা। প্রতিটি অট্টালিকায় রয়েছে প্রাচীন যুগের স্থাপত্য নিদর্শন। বাংলাদেশ সরকার পুরাকীর্তি সংরক্ষণ বিভাগের অধীনে সোনারগাঁওয়ের ধ্বংসপ্রায় প্রাসাদসমূহকে সংস্কার সংরক্ষণের আওতায় এনেছে। 3
উত্থান-পতনের ধারা বেয়ে আজকের ধ্বংসপ্রায় সোনারগাঁও হয়তো একদিন বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু সোনারগাঁওয়ের স্মৃতি আমার মানসপটে চিরদিনই অমলিন থাকবে। সময় পেলে তুমিও বাংলার ইতিহাসপ্রসিদ্ধ স্থান সোনারগাঁও দেখে এসো।
আমি ভালো আছি। তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে জানাবে। তোমার আব্বা-আম্মাকে আমার সালাম জানাবে।
ইতি—
তোমার প্রীতিমুগ্ধ
অনন্ত
Explanation:
I HOPE THIS IS THE ANSWER THAT YOU ALL NEEDED, SHOULD I DESERVE BRAINLIEST